loader image

শূন্য থেকে আর্থিক জীবন গড়ুন: সহজ বাজেট, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা

বেসিক বাজেট, সঞ্চয় অভ্যাস ও নিরাপদ বিনিয়োগ শুরু করার কার্যকর ধাপ

বাজেট বানানো শুরু করুন

প্রথমেই নিজের আয় ও খরচ তালিকা করে ফেলুন। মাসিক আয়, বদলা কাজ থেকে আসা টাকা এবং মোবাইল ওয়ালেট ব্যালান্স মিলিয়ে একটি সাদা কাগজে বা ফোন অ্যাপে লিখে নিন। নগদ চলতি খরচ, ভাড়া এবং ইউটিলিটি আলাদা করে দেখলে বোঝা সহজ হবে।

বাজেট তৈরিতে 50/30/20 নিয়ম মেনে চলা সুবিধার, যেখানে প্রয়োজনীয় খরচ, ইচ্ছের খরচ এবং সঞ্চয় ভাগ করা হয়। আপনার আয় যদি অস্থির হয় তাহলে গড় করে পরিকল্পনা করুন। ছোট ছোট লক করা সেভিংস নিরবচ্ছিন্ন সঞ্চয় গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

রোজকার সঞ্চয় ও জরুরি তহবিল

সঞ্চয়কে আচার্য্য বানান। প্রতিমাসে বেতন পাওয়ার সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট অংশ আলাদা করে নিন। বিকাশ, নগদ বা রকেট ইত্যাদি মোবাইল সার্ভিসে অটোমেটিক স্থানান্তর সেট করে ফেললে টাকা খরচে না পড়ে সঞ্চয় বাড়ে।

জরুরি তহবিল তৈরির লক্ষ্য রাখুন, যে তহবিল থেকে কমপক্ষে ৩ মাসের আবশ্যক খরচ চালানো যায়। এটি চিকিৎসা বা চাকরির অনিশ্চয়তার সময়ে আপনাকে লোন নেওয়ার ঝামেলা থেকে রক্ষা করবে। লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং ছোট লক্ষ্য গুলো কাটিয়ে উঠুন।

ঋণ ও ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট

জরুরি ছাড়া উচ্চ সুদের ঋণ এড়িয়ে চলুন। কার্ড বকেয়া বা ডিজিটাল ক্রেডিট থাকলে প্রথমে উচ্চ সুদের অংশ ফাঁকা করুন। ছোট ছোট কিস্তি দিয়ে ধীরে ধীরে বকেয়া সমন্বয় করলে অর্থচাপে ত্রুটির সম্ভাবনা কমে।

ঋণ নেওয়ার আগে সুদের হার, শোধের মেয়াদ এবং জরিমানা সব পড়ে নিন। বন্ধুবান্ধব থেকে ধার নেওয়ার সময় লিখিতভাবে শর্তগুলি ঠিক করে রাখুন। সুস্থ ক্রেডিট হিস্ট্রি ভবিষ্যতে লোন পেতে সুবিধা দেয়, তাই সময়মতো পেমেন্ট নিশ্চিত করুন।

বিনিয়োগের সহজ পথ ও স্টেপস

বিনিয়োগ শুরু করতে হলে প্রথমে ঝুঁকি গ্রহণ করার ক্ষমতা বুঝুন। ছোট টাকায় শুরু করে ধীরে ধীরে বাড়ান। বাংলাদেশে সরকারি সঞ্চয়পত্র, ব্যাংকের যাত্রাবৃদ্ধি হিসাব বা মিউচুয়াল ফান্ডে SIP স্টাইল ইনভেস্ট করা ভালো বিকল্প।

বিনিয়োগে বৈচিত্র্য রাখুন এবং কৌতূহল দিয়ে শিখতে থাকুন। প্রত্যেক চাহিদার জন্য আলাদা পরিকল্পনা রাখলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়। আজই আপনার প্রথম ছোট বিনিয়োগ পরিকল্পনা করুন এবং মাস শেষে ফলাফল দেখুন, এরপর ধাপে ধাপে বাড়ান।