loader image

ব্যক্তিগত বাজেট তৈরি: সহজ ধাপ ও কার্যকর টিপস

মাসিক আয়-ব্যয় সামলে সঞ্চয় বাড়ানোর সহজ কৌশল ও টেকসই অভ্যাস

প্রাথমিক ধাপ: আয় ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ

নিজের মাসিক আয় ঠিক করে নিন, চাকরিতে নেট বেতন, ব্যবসার টাকাও সব যোগ করুন। যে আয় আপনার হাতে আসে, সেটাই বাজেটের বেস; ব্যাংক লেনদেন, ক্যাশ ও বিকাশ সব মিলিয়ে হিসাব রাখুন।

পরবর্তী ধাপে বাজেটের উদ্দেশ্য নির্ধারণ করুন, যেমন ঋণ শোধ, মৌসুমী উৎসবের জন্য জমা বা জরুরি তহবিল তৈরি করা। ছোট ছোট লক্ষ্য রাখলে নিয়মিত সাশ্রয় করা সহজ হয়।

মাসিক খরচ তালিকা ও শ্রেণিবিভাগ

প্রতিটি খরচ কাগজে বা অ্যাপে লিখে ফেলুন, ভাড়া, ইউটিলিটিজ, বাজার, যানবাহন এবং মোবাইল রিচার্জ আলাদা কলামে রাখুন। রিকশা, বাস বা সিএনজির গড় খরচও মাসিক হিসাব করুন।

খরচকে দুই ভাগে ভাগ করুন: অপরিহার্য ও ঐচ্ছিক। অপরিহার্য হলো ভাড়া, বিদ্যুৎ, পানি, বাজার; ঐচ্ছিক হলো ফাস্টফুড, বিনোদন, অনলাইন সাবস্ক্রিপশন। এই শ্রেণীকরণ বাজেট কাটা সহজ করে।

খরচ কমানোর বাস্তব কৌশল

বাজারে তালিকা নিয়ে যান এবং অফার খুঁজুন, পাইকারি কেনাকাটা করলে অনেকজনে প্রতি মাসে টাকা বাঁচান। অনলাইন মার্কেটপ্লেসে তুলনা করুন এবং বড় কেনাকাটায় বরাদ্দ দিন।

খাবার তৈরি বাড়িতে করলে খরচ কমে, খাবারের অবশিষ্টাংশ সংরক্ষণ করুন এবং মাসিক খাবারের মেনু পরিকল্পনা রাখুন। পরিবহন ভাগ করে ব্যবহার করলে রিকশা বা অ্যাপভিত্তিক ড্রাইভের খরচটা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বাজেট টিকিয়ে রাখা ও সঞ্চয় বাড়ানো

প্রতিমাসে শেষ দিনে নিজের বাজেট রিভিউ করুন, কোথায় ভ্রান্তি হলো সেটা দেখে পরের মাসে ঠিক করে নিন। স্বল্প লক্ষ্য রেখে প্রতিটার অগ্রগতি মাপুন, এতে মনোবল বাড়ে।

নিয়মিত সঞ্চয়ের জন্য আলাদা অ্যাকাউন্ট রাখুন এবং জরুরি অবস্থায় ব্যবহার করার জন্য ৩-৬ মাসের খরচ সমান তহবিল গঠন করুন। আজই একটি ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন এবং প্রথম টাকা জমিয়ে সিস্টেম শুরু করুন।