আর্থিক লক্ষ্য নির্ধারণ করে আর্থিক স্বাধীনতা ও স্থিতিশীলতা গড়ুন
স্পষ্ট লক্ষ্য, নিয়মিত সঞ্চয় ও স্মার্ট বিনিয়োগের মাধ্যমে টেকসই আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করুন

কেন আর্থিক লক্ষ্য জরুরি
আর্থিক লক্ষ্য ছাড়া টাকা থাকার মানে অনেক সময় শুধু জীবনে চলতে থাকা। কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকলে বেতন বা বাড়তি আয়ের টাকা কোথায় যাবে তা পরিষ্কার হয়, ফলে খরচ কমে এবং সঞ্চয় বাড়ে।
বাংলাদেশে যেমন মাস শেষে ভাড়া, মুদি ও বিয়ের খরচের মত বাস্তব চাহিদা থাকে, ঠিক তেমনি ছোট-বড় লক্ষ্যগুলো নির্ধারণ করলে মানসিক চাপও কমে। এটা আপনার দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্থিতিশীলতার প্রথম ধাপ।
বাস্তবসম্মত বাজেট ও সঞ্চয়ের কৌশল
বাজেট করতে গিয়ে ব্যয়কে তিন ভাগে ভাগ করুন: আবশ্যিক, সঞ্চয় এবং নিত্যকর্মে খরচ। প্রতিবার বেতন পাওয়ার সাথে সাথেই সঞ্চয়ের অংশ আলাদা রাখলে বিকাশ বা ব্যাংকে রাখা সহজ হয় এবং খরচ নিয়ন্ত্রণে আসে।
মাসিক লক্ষ্য ছোট রাখুন — প্রথমে জরুরি তহবিল গড়ে তুলুন, তারপর অবসর বা বাড়তি শিক্ষা তহবিলে টাকা বাড়ান। নিয়মিত খরচের তালিকা রাখলে কোন খরচ ছাঁটতে হবে সেটাও সহজে বোঝা যায়।
ঋণ নিয়ন্ত্রণ ও জরুরি তহবিল
ঋণের বোঝা থাকলে আর্থিক লক্ষ্য অর্জন কঠিন হয়। উচ্চ সুদের ঋণ আগে কমিয়ে ফেলুন; নতুবা মাসিক কিস্তি আপনার সঞ্চয় খাওয়া শুরু করবে। ক্রেডিট কার্ড বা পার্সোনাল লোনের সুদের পরিমাণ বুঝে নিতে ভুল করবেন না।
একটি জরুরি তহবিল কমপক্ষে তিন থেকে ছয় মাসের খরচের সমপরিমাণ রাখুন। এটা চাকরি চলে যাওয়া বা মেডিক্যাল ইমার্জেন্সির সময় বিকাশ বা ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমায় এবং মানসিক নিশ্চয়তা দেয়।
বিনিয়োগ করে স্থায়ী স্বাধীনতা
সঞ্চয় জমিয়ে রাখলেই হবে না; টাকাকে কাজ করান। সরকারি বন্ড, ব্যাংক এফডি, মিউচুয়াল ফান্ড বা স্থিতিশীল লংটার্ম স্টক—আপনার ঝুঁকি নিতে পারার ক্ষমতা অনুযায়ী বিনিয়োগ করুন। বিভিন্ন উৎসে একটু একটু করে বিনিয়োগ ঝুঁকি ভাগ করে দেয়।
শুরুতেই বড় করে ঢুকবেন না, ছোটো পরিমাণে শিখে-শিখে বাড়ান। নিয়মিত রিভিউ করে পোর্টফোলিও সামঞ্জস্য রাখলে দ্রুত আর্থিক স্বাধীনতার দিকে এগোতে পারবেন। আজই একটি ছোট পরিকল্পনা লিখে শুরু করুন এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যগুলো মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করুন।