অপ্রয়োজনীয় ঋণ এড়ানোর ১০টি সহজ ও কার্যকর কৌশল
বাজেট তৈরি, খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সুদ কমিয়ে দ্রুত ও স্থায়ীভাবে ঋণমুক্ত হওয়ার কার্যকর উপায়

পরিকল্পনা করে খরচ করুন
অপ্রয়োজনীয় ঋণ এড়াতে প্রথমেই দরকার একটা বাস্তবধর্মী বাজেট। মাসে কত টাকা আসে আর কতটা খরচ লাগে, সেটা খাতা বা মোবাইল অ্যাপে লিখে রাখুন। স্থানীয় সাধারণ খরচগুলো, যেমন বাজার, যাতায়াত, সন্তানদের স্কুল খরচ, আলাদা করে দেখলেই বোঝা যায় কোথায় কাটা যায়।
বাজেট বানানোর সময় ছোট ছোট লক্ষ্য রাখুন—এই মাসে কিস্তি বাড়াবেন না, পরবর্তী মাসে জরুরি সঞ্চয় শুরু করবেন। টাকায় হিসাব করলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়; বড় মূলধন নিয়ে ঝুঁকি না নিয়ে ধার্য সীমার মধ্যে থাকুন।
ক্রেডিট কার্ড ও কিস্তি নিয়ন্ত্রণ
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে সহজেই অতিরিক্ত ব্যয় হয়। তাই কার্ডে সীমা কম রাখুন এবং অনলাইন কেনাকাটায় সরকারি বা জনপ্রিয় ক্যাশব্যাক অফার মিললে তুলনা করে নিন। কিস্তি নেওয়ার আগে সুদের হার, চব্বিশ মাসের মোট খরচ ও জরিমানা চেক করে নিন।
যদি কিস্তি ছাড়া কেনাকাটা করা যায়, সেটাই ভাল। বিশেষ করে বড় ইলেকট্রনিকস বা ফর্নিচারের ক্ষেত্রে ‘শূন্য শতাংশ EMI’ নামক প্রলুব্ধিতে পড়ে না যাওয়া ভালো। নগদ সঞ্চয় করে কেনা গেলে মস্তিষ্কে চাপও কম থাকে এবং সুদের বোঝা থেকেও মুক্তি মেলে।
জরুরি ফান্ড গড়ে তুলুন
অপ্রত্যাশিত খরচ হলে আমাদের পাশে জরুরি সঞ্চয় না থাকলে ধারই নিতে হয়। তাই মাসের আয়ের একটি অংশ, এমনকি ছোট পরিমাণটাও, আলাদা ‘জরুরি তহবিল’ হিসেবে রাখুন। স্থানীয় ব্যাংক বা মোবাইল সেভিংস অ্যাপে স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সফার সেট করলে অভ্যাস তৈরি হয়।
জরুরি তহবিল থাকলে বিনা পরিকল্পনায় ঋণের দরকার পড়ে না এবং মানসিক চাপও কমে। আগামী কয়েক মাসে এই তহবিল তিন থেকে ছয় মাসের বাসস্থান খরচ কভার করার লক্ষ্যে বাড়ান—এটা ধীরে ধীরে হলেও কার্যকর রক্ষাকবচ।
সুদ কমানো ও বুদ্ধিমানের পরিবর্তন
সুদ কমাতে কেবল সস্তা ঋণ খুঁজে বের করে বদল না করুন, আগে আপনার কিস্তির শর্ত বুঝে নিন। স্থানীয় ব্যাংক, মাইক্রোফাইন্যান্স ও পিয়ার-টু-পিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোর সুদ তুলনা করে যেকোনো নতুন লোন নেওয়ার আগে মূল্যায়ন করুন।
অতিরিক্ত খরচ কমাতে মাসিক সাবস্ক্রিপশন পর্যালোচনা করুন এবং যা ব্যবহার করেন না তা বাতিল করুন। বাড়তি টাকা সঞ্চয়ে নিন বা ঋণের মেয়াদ ছোট করলে মোট সুদ কমে। আজই ছোট ছোট পরিবর্তন শুরু করুন, তিন মাসে ফল দেখতে পাবেন।