loader image

অর্থের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তোলার ১০ কার্যকর কৌশল

বাজেটিং, সঞ্চয় ও মনোভাব বদলে দৈনন্দিন আর্থিক সিদ্ধান্তে স্থায়ী বদল এনে মানসিক শান্তি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করুন

আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য কোনো জাদু নয়; এটি নিয়মিত অভ্যাস, বাস্তব পরিকল্পনা আর নিজেকে বোঝার ফল। নিচের কৌশলগুলো বাংলাদেশি বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে সহজভাবে কাজে লাগান, টাকাকে নিয়ন্ত্রণ করুন, যাতে টাকাই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ না করে।

বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করুন

প্রথম ধাপ হলো আয়-খরচ ছোট করে দেখা—বেতন পাওয়া মাত্রই সবকিছু মাথায় ভেবে বাজেট বানান। মাসিক খরচ, ফাস্টিভ্যাল জমা, স্কুলফি ও ছোট আনন্দ—সব আলাদা কণ্ঠে লিখে ফেলুন।

প্রতিদিনের বাজার, ট্রান্সপোর্ট আর মোবাইল বিলগুলো মনে রাখলে অবাক হবেন কোথায় টাকা ধুয়ে যাচ্ছে। সহজ একটা এক্সেল শিট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে খরচ ট্র্যাক করুন, এতে আপনি মাস শেষে স্পষ্ট ছবি পাবেন।

জরুরি সঞ্চয় গঠন করুন

দেশি বাস্তবে একযুগে না হলেও এক মাসের বেতনেই অনিশ্চয়তা কাটে না, তাই জরুরি ফান্ড রাখা জরুরি। লক্ষ্য রাখুন প্রথমে ৳১০,০০০ কিংবা এক মাসের ন্যূনতম খরচ; ধীরে ধীরে তা দুই-তিন মাসের খরচে উন্নীত করুন।

বড় স্কিম না করেই সেভিংস অটোমেটিক রাখুন—বেতন ঢুকে গেলে স্বয়ংক্রিয় ট্রান্সফার করে সেভিংস অ্যাকাউন্টে পাঠান। ছোট ছোট ধারাবাহিক সঞ্চয় বড় আকারের নিরাপত্তা দেবে।

ঋণ ও কাস্টমার ক্রেডিট সাবধানে পরিচালনা করুন

ঋণ নেওয়ার আগে সুদের হার, মেয়াদ ও মাসিক কিস্তি নিয়ে পরিষ্কার পরিকল্পনা নিন। অসুবিধা হলে উচ্চ সুদের ক্রেডিট কার্ড বা তৎপর লোন এড়িয়ে চলুন, কারণ সুদ কামড়ে নিতে পারেন।

ঋণ যদি unavoidable হয়, তাহলে কিস্তি ও অতিরিক্ত খরচ কমানোর জন্য রিফাইন্যান্সিং বা কিস্তি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। ছোট কিস্তি পরিশোধ করলে মানসিক চাপ কমে এবং আর্থিক গতিশীলতা বাড়ে।

মানসিকতা বদলান ও নিয়মিত চেক করুন

টাকা শুধু খরচের বিষয় নয়, এটি আপনার মূল্যবোধ ও লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। রাতারাতি বদল আশা না করে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করে এগোনো বেশি কার্যকর।

মাসে একবার আপনার বাজেট ও সঞ্চয় রিভিউ করুন, প্রয়োজন হলে কাটা–ছাঁটা করে নিন। আজ থেকেই ছোট একটি পদক্ষেপ নিন—এক কাপ চায়ের বাজেট কমিয়ে সেই টাকা সেভিংসে রাখুন এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করুন।