loader image

৩ ধাপে আপনার আর্থিক জীবন গুছানোর সহজ কৌশল

বাজেট গঠন, দেনা কমানো ও সঞ্চয় বাড়িয়ে স্থিতিশীল আর্থিক ভবিষ্যৎ গড়ার প্র্যাকটিক্যাল কৌশল

১. স্পষ্ট বাজেট তৈরি করুন

প্রথম ধাপে আপনার মাসিক আয় আর খরচ খুঁজে বের করুন। বেতনের ক্ষেত্রে টাকার ইউনিট হিসাবে ৳ ব্যবহার করুন এবং সবগুলো খাতে (ভাড়া, খাবার, ইউটিলিটি, পরিবহন, মোবাইল ব্যাংকিং চার্জ) আলাদা আলাদা লাইন রাখুন যাতে বোঝা সহজ হয়।

সংক্ষেপে একটি বাজেট শীট রাখুন — কাগজে বা ফোনের এক্সেল/নোট অ্যাপে। প্রতিটি মাস শেষে রিয়্যালিটি যাচাই করুন: কোন খাতে অতিরিক্ত টাকা যাচ্ছে, কোথায় কাটা যায় — এভাবে পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত হবে।

২. দেনা কমানোর বাস্তব কৌশল

ঋণ থাকলে প্রথমে উচ্চ সুদের ঋণ চিহ্নিত করুন এবং সেটি ছোট কিস্তি দিয়ে দ্রুত কমানোর লক্ষ্য রাখুন। যদি ব্যাংক বা মাইক্রোফাইন্যান্স থেকে ঋণ থাকে, তাদের রিমাইন্ডার ও শর্তগুলো ঠিক আছে কি না তা নিয়মিত দেখুন এবং অনর্থক ফাইনাল চার্জ এড়িয়ে চলুন।

ঋণ পরিশোধের জন্য প্রতি মাসে আলাদা তহবিল রাখুন — ওই টাকাকে কেবল ঋণের জন্যই ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে ঋণ সমন্বয় বা পুনর্গঠন নিয়ে ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলুন; অনেক সময় সুদ কমানো বা কিস্তি দীর্ঘ করার সুযোগ থাকে।

৩. সঞ্চয় ও জরুরি তহবিল গঠন

নিয়মিত সঞ্চয়কে অগ্রাধিকার দিন: প্রথমেই জরুরি তহবিল তৈরি করুন যা ৩ থেকে ৬ মাসের খরচ কভার করবে। ব্যাংক খোলার পাশাপাশি বিকাশ বা রকেটের মতো মোবাইল সেভিং অপশনগুলোও ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে হাতের কাছে নগদ না থাকলে ফুসলে না যায়।

সঞ্চয়কে ছোট ছোট লক্ষ্য বানিয়ে নিলেও দ্রুত ফল দেখা যায় — যেমন ইমার্জেন্সি, সন্তানদের পড়াশোনা, বাড়ি মেরামত। স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতি বেতনের দিনে নির্দিষ্ট অংশ আলাদা অ্যাকাউন্টে পাঠালে সেভিং ধরে রাখাই সহজ হয়।

৪. আয় বাড়ানো ও নিয়মিত রিভিউ

বিকল্প আয় বৃদ্ধির উপায়গুলো ভাবুন — পার্টটাইম কাজ, ফ্রিল্যান্সিং, ছোট অনলাইন ব্যবসা বা স্কিল বাড়িয়ে বেশি বেতন পাওয়ার চেষ্টা করুন। গ্রামের বা শহরের ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সেবা সাজানো বেশি কাজে দেয়।

প্রতি তিন মাসে আপনার বাজেট ও সঞ্চয় কৌশল রিভিউ করুন এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী সামঞ্জস্য করুন। ছোট পরিবর্তনগুলো যেমন খাবারের বাজেট কমানো বা অ্যানুষাঙ্গিক সাবস্ক্রিপশন বন্ধ করা মিলিয়ে বড় সঞ্চয় তৈরি করে, তাই নিয়মিত মনিটরিং করুন এবং আজই শুরু করুন।