loader image

টাকার ব্যাপারে বেশি সচেতনতা গড়ে তুলুন: ব্যক্তিগত অর্থের জন্য ১০ প্রমাণিত কৌশল

দৈনন্দিন বাজেট নিয়ন্ত্রণ, স্মার্ট সঞ্চয় ও বিনিয়োগ অভ্যাসে আর্থিক স্থিতিশীলতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করার কার্যকর রণনীতি

প্রাথমিক বাজেট ও স্বচ্ছ হিসাব রাখুন

প্রথম ধাপ হলো মাসিক আয় ও খরচকে পরিষ্কারভাবে ভাগ করে নেওয়া। চাকরিজীবি হোন বা ছোট ব্যবসায়ী, হাতে আসা টাকার উৎস ও নিয়মিত ব্যয় সম্পর্কে সকালেই খ্যাত রাখতে হবে।

কাগজে বা মোবাইলে সহজ বাজেট টেমপ্লেট রাখুন—বিকাশ বা ব্যাংকের কল-স্টেটমেন্টসহ সব রসিদ সংরক্ষণ করুন। নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে ১০ মিনিট হিসাব মিলালে বড় ভুল টালা যায়।

খরচের অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন

প্রয়োজনীয়তা ও ইচ্ছের ক্ষেত্রে স্পষ্ট লাইন টেনে দিন। বাড়িভাড়া, ইউটিলিটি, খাবার এগুলো প্রথমে; মজা, রেস্তোরাঁ, অনলাইন সাবস্ক্রিপশন পরে রাখুন। এতে অপ্রয়োজনীয় লেনদেন কমে।

বড় কেনাকাটার আগে ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করলেই অনেক সময় সিদ্ধান্ত বদলে যায়। বিকাশ বা নগদে ছোট-ছোট নোটিফিকেশন বন্ধ করে অতিরিক্ত খরচ রোধ করা যায়।

সঞ্চয় ও জরুরি তহবিল গড়ে তুলুন

জরুরি অবস্থা ঝুঁকি কমাতে মোট আয়ের অন্তত ৩-৬ মাসের ব্যয় সমপরিমাণ তহবিল তৈরি করুন। ছোট থেকেই নিয়মিত অটোমেটিক সেভিংস শুরু করলে টাকার গঠন সহজ হয়।

বিকাশ সেভিংস, ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট বা সহজ রিলায়েবল সেভিংং অ্যাকাউন্ট—আপনার রুটিন অনুযায়ী সুবিধাজনক অপশন বেছে নিন। ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে সাফল্য ধরে রাখতে পারবেন।

স্মার্ট বিনিয়োগ ও ডিজিটাল টুল ব্যবহার করুন

টাকা কেবল রেখে দিলে মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ মিস হয়। পুঁজিবাজার, মিউচুয়াল ফান্ড, বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্ল্যাটফর্মে পরিকল্পিতভাবে সামান্য অংশ বিনিয়োগ করুন। ঝুঁকি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে বাড়ান।

ডিজিটাল টুলগুলোকে কাজে লাগান—অ্যাপের মাধ্যমে বাজেট ট্র্যাকিং, স্বয়ংক্রিয় সেভিংস, বিনিয়োগ রিমাইন্ডার সবই আপনার জন্য সময় ও মনোযোগ বাঁচাবে। আজই একটি সহজ প্ল্যান বানান এবং প্রথম টাকা আলাদা করে রাখুন।