loader image

আপনার আর্থিক জীবন সফলভাবে শুরু করার ১০ কার্যকর টিপস

বাজেটিং, সঞ্চয়, দেনা নিয়ন্ত্রণ ও বিনিয়োগ কৌশলসহ টেকসই আর্থিক ভিত্তি গড়ার ব্যবহারিক নির্দেশনা

বাজেট ঠিক করে শুরু করুন

প্রতিটি মাসে টাকা কোথায় যাচ্ছে সেটা জানলে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ আসা সহজ। আপনার আয় ও ব্যয় লিখে একটি বাস্তবসম্মত বাজেট তৈরি করুন, মাসে খাবার, ট্রাভেল, বিল ও বিনিয়োগ আলাদা আলাদা লাইন করে রাখুন।

বিকল্প হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং স্টেটমেন্ট বা বিকাশ রিসিপ্ট দেখে অতিরিক্ত ব্যয় চিহ্নিত করুন। প্রথম তিন মাস সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে আপনি আসলেই কোথায় কাটছাঁট করা যায় বুঝতে পারবেন।

জরুরি তহবিল গঠন করুন

অপ্রত্যাশিত অবস্থার জন্য একটি জরুরি সঞ্চয় জরুরি, সাধারণ নিয়ম হচ্ছে তিন থেকে ছয় মাসের খরচ সঞ্চয় করা। ছোটো ছোটো জমা শুরু করুন, প্রতি মাসে আপনার বেতন থেকে নির্দিষ্ট শতাংশ আলাদা রাখুন।

চলতি ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা নিরাপদ ফিক্সড ডিপোজিটে সেই টাকা রাখুন যাতে জরুরিতে সহজে তুলে নেওয়া যায়। দরকার পড়লে বিকাশ বা রকেটে দ্রুত অ্যাক্সেস সুবিধা কাজে লাগে।

দায়িত্বশীল ঋণ ও ক্রেডিট ব্যবহার

আপনার ঋণ নেওয়ার আগে কিস্তি ও মোট খরচ ভালোভাবে হিসাব করুন। পয়সার লিমিট ও সুদের হার বুঝে অনুপযুক্ত ক্রেডিট কার্ড বা ডারনিং এড়িয়ে চলুন। ব্যাংক ঋণ নিলে পেমেন্ট রেকর্ড ঠিক রাখবেন, ঠিক সময়ে কিস্তি পরিশোধ ক্রেডিট রেটিং ভালো রাখে।

ছোট ব্যবসা বা পড়াশোনার জন্য ঋণ নিলে সরকারি স্কিম বা সম্মানজনক ব্যাংকের প্রোডাক্ট দেখুন। অপ্রাসঙ্গিক বিকল্পে আটকে গেলে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিনিয়োগ এবং অভ্যাস গঠন

সঞ্চয় বাড়ানোর পাশাপাশি ছোটোখাটো বিনিয়োগ শুরু করুন, মিউচুয়াল ফান্ড, স্টক বা সোনায় সামান্য অঙ্ক দিয়ে অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করুন। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য যেমন পেনশন বা বাড়ি কেনার জন্য পরিকল্পিত পোর্টফোলিও তৈরি করুন।

নিয়মিত আর্থিক শিক্ষায় সময় দিন, বিনিয়োগের মৌলিক নিয়ম ও ঝুঁকি বোঝা শেখা জরুরি। ছোট লক্ষ্য পূরণ করে আত্মবিশ্বাস বাড়ান এবং ধীরে ধীরে বড় লক্ষ্য ছুঁতে যান, এখনি একটি ছোট তালিকা বানিয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিন।